Episodios

  • অধ্যায় ১৫: সভ্য মানুষদের নারদ মুনির উপদেশ
    Oct 3 2024

    শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের সপ্তম স্কন্ধের পঞ্চদশ অধ্যায়ে প্রহ্লাদ মহারাজের উপদেশগুলি বর্ণিত হয়েছে। তিনি মানব সমাজের আদর্শ জীবনযাত্রার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেছেন, যা ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ এই চারটি পুরুষার্থের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার উপর ভিত্তি করে। ### মূল পয়েন্টগুলি: - **ধর্ম**: প্রহ্লাদ মহারাজ বলেন যে ধর্মই সভ্য জীবনের মূল ভিত্তি। ধর্মের পথে চললে সত্য, ন্যায় ও মুক্তি লাভ করা যায়। - **অর্থ ও কাম**: অর্থ ও কাম জীবনের অপরিহার্য অংশ হলেও, এগুলি কখনোই ধর্মের উপরে স্থান পেতে পারে না। সঠিকভাবে পরিচালিত হলে এই দুটি বিষয় জীবনে শান্তি ও পূর্ণতা আনে। - **মোক্ষ**: চূড়ান্ত লক্ষ্য হল মোক্ষ লাভ, যা ধর্ম, অর্থ ও কামের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে এবং ঈশ্বরের প্রতি অটল ভক্তি রেখে অর্জিত হয়। ### উপসংহার: এই অধ্যায়টি একটি সুষম ও উদ্দেশ্যমূলক জীবনযাপনের নির্দেশনা প্রদান করে। এটি ধর্ম ও ভক্তির গুরুত্ব তুলে ধরে, যা প্রকৃত সুখ ও মুক্তি অর্জনে সহায়ক।

    Más Menos
    20 m
  • অধ্যায় ১৪: আদর্শ গৃহস্থ জীবন
    Oct 2 2024

    শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের সপ্তম স্কন্ধের চতুর্দশ অধ্যায়ে গৃহস্থ জীবনের আদর্শ ও কর্তব্যগুলি বর্ণিত হয়েছে। এই অধ্যায়ে নারদ মুনি যুধিষ্ঠির মহারাজকে গৃহস্থদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন। ### মূল পয়েন্টগুলি: - **গৃহস্থের কর্তব্য**: নারদ মুনি বলেন যে গৃহস্থদের প্রথম কর্তব্য হল ভগবান কৃষ্ণের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল থাকা এবং তাঁর সন্তুষ্টির জন্য সমস্ত কাজ করা। - **শ্রবণ ও কীর্তন**: গৃহস্থদের উচিত শাস্ত্র ও সাধুদের কাছ থেকে শ্রবণ করা এবং ভক্তি কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকা। - **আর্থিক দায়িত্ব**: গৃহস্থদের উচিত তাদের পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর জন্য পরিশ্রম করা, কিন্তু অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের জন্য অযথা প্রচেষ্টা না করা। - **প্রাণীদের প্রতি দয়া**: গৃহস্থদের উচিত পশু-পাখিদের প্রতি স্নেহশীল হওয়া এবং তাদের প্রয়োজনীয়তা মেটানো। - **প্রসাদ বিতরণ**: গৃহস্থদের উচিত তাদের উপার্জিত অর্থ পাঁচটি কাজে ব্যয় করা: ভগবানকে পূজা করা, বৈষ্ণব ও সাধুদের আপ্যায়ন করা, সাধারণ জনগণ ও জীবজন্তুদের প্রসাদ বিতরণ করা, পূর্বপুরুষদের প্রসাদ অর্পণ করা এবং নিজের জন্য প্রসাদ গ্রহণ করা। ### উপসংহার: এই অধ্যায়টি গৃহস্থ জীবনের আদর্শ ও কর্তব্যগুলি বর্ণনা করে, যা ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে একটি সুশৃঙ্খল ও সুখী জীবনযাপনের নির্দেশনা প্রদান করে।

    Más Menos
    10 m
  • অধ্যায় ১৩: সিদ্ধপুরুষের আচরণ
    Oct 1 2024

    শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের সপ্তম স্কন্ধের ত্রয়োদশ অধ্যায়ে, "আদর্শ ব্যক্তির আচরণ" শিরোনামে, একজন আদর্শ ব্যক্তির আচরণ এবং গুণাবলী সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এই অধ্যায়ে, প্রহ্লাদ মহারাজ একজন আদর্শ ব্যক্তির গুণাবলী এবং আচরণের বর্ণনা দেন। তিনি বলেন যে, একজন আদর্শ ব্যক্তি সর্বদা ভগবানের প্রতি ভক্তি এবং সেবা করেন এবং তাঁর জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ধর্মের নীতি মেনে চলেন। একজন আদর্শ ব্যক্তি কখনও অহংকার করেন না এবং সর্বদা বিনয়ী এবং সহানুভূতিশীল থাকেন। প্রহ্লাদ মহারাজ ব্যাখ্যা করেন যে, একজন আদর্শ ব্যক্তি সর্বদা সত্য কথা বলেন, অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকেন এবং নিজের ইন্দ্রিয়গুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখেন। তিনি সর্বদা ভগবানের নাম স্মরণ করেন এবং তাঁর কৃপায় জীবনযাপন করেন। এই অধ্যায়ে প্রহ্লাদ মহারাজের আদর্শ ব্যক্তির আচরণ এবং গুণাবলীর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, যা আমাদের শেখায় যে সত্যিকারের ভক্তি এবং ধর্মের নীতি মেনে চললে জীবনে শান্তি এবং সাফল্য অর্জন করা যায়।


    Más Menos
    11 m
  • অধ্যায় ১২: বৈদিক আশ্রমের বর্ণনা
    Sep 30 2024

    শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের সপ্তম স্কন্ধের দ্বাদশ অধ্যায়ে, "আদর্শ সমাজ: চারটি আধ্যাত্মিক শ্রেণী" শিরোনামে, সমাজের চারটি আধ্যাত্মিক শ্রেণীর (আশ্রম) আদর্শ কাঠামো এবং তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।


    এই অধ্যায়ে, প্রহ্লাদ মহারাজ সমাজের চারটি আধ্যাত্মিক শ্রেণীর (ব্রহ্মচারী, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ, এবং সন্ন্যাসী) ভূমিকা এবং দায়িত্ব সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন যে, সমাজের প্রতিটি আধ্যাত্মিক শ্রেণীর নিজস্ব দায়িত্ব এবং কর্তব্য রয়েছে, যা পালন করলে সমাজে শৃঙ্খলা এবং শান্তি বজায় থাকে।


    প্রহ্লাদ মহারাজ ব্যাখ্যা করেন যে, ব্রহ্মচারীদের প্রধান দায়িত্ব হল শিক্ষা গ্রহণ এবং গুরুজনদের সেবা করা। গার্হস্থ্যদের দায়িত্ব হল পরিবার পরিচালনা এবং সমাজের অন্যান্য শ্রেণীর সেবা করা। বানপ্রস্থদের দায়িত্ব হল সংসার ত্যাগ করে আধ্যাত্মিক সাধনায় লিপ্ত হওয়া। সন্ন্যাসীদের দায়িত্ব হল সম্পূর্ণরূপে সংসার ত্যাগ করে ভগবানের সেবা করা এবং ধর্ম প্রচার করা।


    এই অধ্যায়ে প্রহ্লাদ মহারাজ সমাজের প্রতিটি আধ্যাত্মিক শ্রেণীর গুরুত্ব এবং তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন, যা আমাদের শেখায় যে সমাজের প্রতিটি অংশের নিজস্ব ভূমিকা এবং দায়িত্ব রয়েছে এবং সেগুলি পালন করলে সমাজে শৃঙ্খলা এবং শান্তি বজায় থাকে।

    Más Menos
    8 m
  • অধ্যায় ১১: বর্ণপ্রথা
    Sep 29 2024

    শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের সপ্তম স্কন্ধের একাদশ অধ্যায়ে, "আদর্শ সমাজ: চারটি সামাজিক শ্রেণী" শিরোনামে, সমাজের চারটি শ্রেণীর (বর্ণ) আদর্শ কাঠামো এবং তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।


    এই অধ্যায়ে, প্রহ্লাদ মহারাজ সমাজের চারটি শ্রেণীর (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, এবং শূদ্র) ভূমিকা এবং দায়িত্ব সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন যে, সমাজের প্রতিটি শ্রেণীর নিজস্ব দায়িত্ব এবং কর্তব্য রয়েছে, যা পালন করলে সমাজে শৃঙ্খলা এবং শান্তি বজায় থাকে।


    প্রহ্লাদ মহারাজ ব্যাখ্যা করেন যে, ব্রাহ্মণদের প্রধান দায়িত্ব হল ধর্মীয় শিক্ষা এবং আচার-অনুষ্ঠান পালন করা। ক্ষত্রিয়দের দায়িত্ব হল সমাজের রক্ষা এবং শাসন করা। বৈশ্যদের দায়িত্ব হল ব্যবসা-বাণিজ্য এবং কৃষিকাজ করা। শূদ্রদের দায়িত্ব হল অন্যান্য শ্রেণীর সেবা করা।


    এই অধ্যায়ে প্রহ্লাদ মহারাজ সমাজের প্রতিটি শ্রেণীর গুরুত্ব এবং তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন, যা আমাদের শেখায় যে সমাজের প্রতিটি অংশের নিজস্ব ভূমিকা এবং দায়িত্ব রয়েছে এবং সেগুলি পালন করলে সমাজে শৃঙ্খলা এবং শান্তি বজায় থাকে।

    Más Menos
    9 m
  • অধ্যায় ১০: ভক্তপ্রবর প্রহ্লাদ
    Sep 28 2024

    শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের সপ্তম স্কন্ধের দশম অধ্যায়ে, "প্রহ্লাদ মহারাজের প্রশংসা" শিরোনামে, প্রহ্লাদ মহারাজের ভক্তি এবং তাঁর অসাধারণ গুণাবলীর প্রশংসা করা হয়েছে।


    এই অধ্যায়ে, ভগবান নৃসিংহদেব প্রহ্লাদ মহারাজের ভক্তি এবং সাহসের প্রশংসা করেন। ভগবান নৃসিংহদেব প্রহ্লাদকে আশীর্বাদ করেন এবং বলেন যে, তাঁর ভক্তি এবং বিশ্বাসের জন্য তিনি সর্বদা রক্ষা পাবেন। প্রহ্লাদ মহারাজ ভগবান নৃসিংহদেবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন যে, তিনি সর্বদা ভগবানের সেবা করতে চান।


    এই অধ্যায়ে প্রহ্লাদ মহারাজের ভক্তি এবং তাঁর অসাধারণ গুণাবলীর প্রশংসা করা হয়েছে, যা আমাদের শেখায় যে সত্যিকারের ভক্তি এবং বিশ্বাস সবসময়ই বিজয়ী হয়।


    Más Menos
    15 m
  • অধ্যায় ০৯: নৃসিংহকবচম
    Sep 28 2024

    শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের সপ্তম স্কন্ধের নবম অধ্যায়ে, "প্রহ্লাদ মহারাজের প্রার্থনা" শিরোনামে, প্রহ্লাদ মহারাজ ভগবান নৃসিংহদেবের প্রতি তাঁর গভীর ভক্তি এবং প্রার্থনা প্রকাশ করেন।


    এই অধ্যায়ে, ভগবান নৃসিংহদেব হিরণ্যকশিপুকে বধ করার পর, প্রহ্লাদ মহারাজ ভগবানের প্রশংসা করেন এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রহ্লাদ মহারাজ ভগবান নৃসিংহদেবের কাছে প্রার্থনা করেন এবং বলেন যে, তিনি ভগবানের কৃপায় সবসময় রক্ষা পেয়েছেন এবং তাঁর জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ভগবানের কৃপা অনুভব করেছেন।


    প্রহ্লাদ মহারাজ ভগবান নৃসিংহদেবের কাছে প্রার্থনা করেন যে, তিনি যেন সর্বদা ভগবানের সেবা করতে পারেন এবং তাঁর প্রতি ভক্তি বজায় রাখতে পারেন। তিনি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেন যে, তিনি যেন কখনও ভগবানের সেবা থেকে বিচ্যুত না হন এবং সর্বদা ভগবানের কৃপা লাভ করতে পারেন।


    এই অধ্যায়ে প্রহ্লাদ মহারাজের ভক্তি এবং ভগবান নৃসিংহদেবের প্রতি তাঁর গভীর প্রার্থনার কাহিনী বর্ণিত হয়েছে, যা আমাদের শেখায় যে সত্যিকারের ভক্তি এবং বিশ্বাস সবসময়ই বিজয়ী হয়।


    Más Menos
    20 m
  • অধ্যায় ০৮: নৃসিংহ দেবের আবির্ভাব
    Sep 6 2024

    শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের সপ্তম স্কন্ধের অষ্টম অধ্যায়ে, "ভগবান নৃসিংহদেবের আবির্ভাব" শিরোনামে, ভগবান নৃসিংহদেবের আবির্ভাব এবং হিরণ্যকশিপুর বিনাশের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। এই অধ্যায়ে, হিরণ্যকশিপু প্রহ্লাদকে হত্যা করার জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালান, কিন্তু প্রতিবারই প্রহ্লাদ ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় রক্ষা পান। অবশেষে, হিরণ্যকশিপু প্রহ্লাদকে হত্যা করার জন্য একটি স্তম্ভ ভেঙে ফেলেন এবং সেই স্তম্ভ থেকে ভগবান নৃসিংহদেব আবির্ভূত হন। ভগবান নৃসিংহদেব অর্ধ-মানব, অর্ধ-সিংহ রূপে আবির্ভূত হয়ে হিরণ্যকশিপুকে হত্যা করেন।এই অধ্যায়ে ভগবান নৃসিংহদেবের আবির্ভাব এবং হিরণ্যকশিপুর বিনাশের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে, যা আমাদের শেখায় যে ভগবানের প্রতি সত্যিকারের ভক্তি এবং বিশ্বাস সবসময়ই বিজয়ী হয়।

    Más Menos
    17 m